সোমবার, ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:৪১

শিরোনাম :
কথা দিচ্ছি আপনাদের সেবায় আমি সর্বদা পাশে থাকবো : চেয়ারম্যান প্রার্থী এসএম জাকির হোসেন উপজেলার উন্নয়নে আপনাদের পাশে আমি সর্বদা রয়েছি -ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন মোটরসাইকেল প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত-২ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া কে এই জাকির হোসেন প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের মন জয় করছেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম যারা আমার জন্য কাজ করেছে আমি তাদের রেখে কখনো পালিয়ে যাইনি-এসএম জাকির হোসেন রেমিটেন্স আহরণে রূপালী ব্যাংকের ২ দিন ব্যাপী ক্যাম্পেইন সম্পন্ন সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা বরিশালের দুই উপজেলায় বৈধতা পেলেন ২৫ প্রার্থী ঝালকাঠিতে বেপরোয়া ট্রাক কেড়ে নিল ১৪ প্রাণ

মামলা থেকে বেঁচে যেতে পারেন মিন্নি !

dynamic-sidebar

অনলাইন ডেস্ক ॥ বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের আরেকটি নতুন ভিডিও পাওয়া গেছে। ভিডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।

নতুন ভিডিওটি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সিসিটিভিতে ধারণ করা।

এতে দেখা যায়, বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে আহত করার পর স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি একাই র’ক্তা’ক্ত অবস্থায় রিফাতকে রি’কশায় হাস’পাতালে নিয়ে যান।

হাসপাতালের সামনে স্থাপনকৃত সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা যায়, গত ২৬ জুন সকাল ১০টা ২১ মিনিটে মিন্নি একাই একটি ব্যাটারি চালিত রিকশায় রক্তাক্ত ও অচেতন রিফাতকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে নিয়ে যান। এ সময় মিন্নির ডাকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মামুন নামে এক যুব’ক রি’ফাত শরী’ফকে বহন করা রিকশার দিকে দৌড়ে আসেন।

রিফাতের অবস্থা দেখে হাসপাতালের ভেতরে গিয়ে একটি স্ট্রেচার নিয়ে রিকশার পাশে আসেন মামুন।

এ সময় সেখানে উপস্থিত অনেকেই এগিয়ে আসেন।

এরপর রিকশা থেকে নামিয়ে অচেতন রিফাত শরীফকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। হাসপাতালের সামনে উপস্থিত একজনের ফোন নিয়ে কল দিয়ে কারও সঙ্গে কথা বলেন মিন্নি। তখনো মিন্নির জামায় র’ক্ত লেগেছিল। এরপর হাসপাতালের ভেতরে যান তিনি। এর কিছু সময় পর মিন্নি’র বাবা মোজাম্মেল হোসেন ও চাচা আবু সা’লেহ হাস’পাতালে আসেন।

এরপর সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে হাস’পাতালের সামনে একটি অ্যাম্বুলেন্স আসে। সেখানে রিফাত শরীফের বন্ধু মঞ্জুরুল আলম ওরফে জন ও তার কয়েকজন বন্ধু হাসপাতালের সামনে আসেন। তখন কিছু সময় ফোনে কথা বলেন জন।

পরে অ্যাস্বুলেন্সটি হাসপা’তালের সামনে এনে রিফাত শরীফকে বহন করে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়।

১০টা ৪৪ মিনিটে অক্সিজেন ও দুটি স্যালাইন লাগানো অবস্থায় রিফাত শরী’ফকে স্ট্রেচারে করে ওই অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয়। রিফাতকে বহন করা অ্যাম্বুলেন্সটি ১০টা ৪৯ মিনিটে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণ ত্যা’গ করে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সামনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি ও বরগুনা জেলা পুলিশের একটি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। তবে নতুন ভিডিওটি কোন ক্যা’মেরা’র ধারণ করা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

গুরুতর আহত রিফা’তকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসা দেয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন বরগুনার সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র টেকনিশিয়ান সুভাষ চন্দ্র।

সুভাষ চন্দ্র বলেন, রিফাত শরীফকে যখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় তখন আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম।

ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রিফাতের অবস্থা খুব খারাপ ছিল সেদিন। বিশেষ করে তার বাম পাশের ফুসফুস ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

এ কারণে সব ব্যবস্থা করেও তার জীবন সংকটাপন্ন হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে রক্ত দেয়া হয়নি। তবে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রিফাতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।

২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রিফাতকে কোপানোর ঘটনায় ধারণ করা প্রথম ভিডিওটিতে দেখা যায়, রিফাতকে সন্ত্রাসীরা যখন ‘কোপা’ চ্ছিল তখন স্বামীকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন স্ত্রী মিন্নি। সন্ত্রাসীর সঙ্গে যুদ্ধ করেও স্বামীকে বাঁচাতে পারলেন না স্ত্রী মিন্নি।

একই ঘটনায় প্রকাশিত দ্বিতীয় ভিডিওটিতে দেখা যায়, ঘটনার দিন যখন রিফাতকে কলেজ গেট থেকে ধরে পূর্ব দিকে নিয়ে যাচ্ছিল সন্ত্রাসীরা তখন সন্ত্রাসীদের পেছনে ছিলেন মিন্নি।

এই ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার পর সন্দেহের জেরে গত ১৩ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে রিফাত হত্যায় মিন্নি জ’ড়িত বলে অভিযোগ তোলেন রিফাতের বাবা।

একই সঙ্গে দ্বিতীয় ভিডিও’র উদ্ধৃতি দেন মিন্নির শ্বশুর আ. হালিম দুলাল শরীফ। এরপরই ১৬ জুলাই জিজ্ঞাসাবাদের নামে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মিন্নিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বহু নাটকীয়তার পর মিন্নিকে ৭ নম্বর আসামি করে রিফাত হত্যা মামলার চার্জশিট দেয় পুলিশ।

৩ সেপ্টেম্বর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বর্তমানে বাবার বাড়িতে আছেন তিনি। রিফাত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ার পর কারামুক্ত হয়ে বরগুনার মাইঠা এলাকার বাবার বাসায় অবস্থান করলেও আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি মিন্নি।

তবে এ বিষয়ে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, হাসপাতালের সামনের ভিডিওটি আমিও পেয়েছি। স্বামী রিফাত শরীফকে বাঁচাতে মিন্নি যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে তা কলেজের সামনের ভিডিও এবং হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ভিডিওতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত।

আমি শুরু থেকেই বলে এসেছি, আমার মেয়ে এ হত্যা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নয়। আমার মেয়েকে ষড়যন্ত্র করে এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমার মেয়ে নির্দোষ। আমার মেয়ে ষড়যন্ত্রের শি’কার।

তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই কলেজের সামনের ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু হাসপাতালের সামনের ভিডিওটি গোপন করার চেষ্টা করা হয়ছে। কিন্তু তা পারেনি তারা। এরকম আরও একটি ভিডিও আমার সন্ধানে আছে। আমি ওই ভিডিও টিও উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি।

এ বিষয়ে মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী বলেন, নতুন ভিডিওটি আমি দেখেছি। এতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় স্বামীকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মিন্নি।

তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে কী আছে সেটা আমি এখনো দেখিনি। কারণ, আদালতে দেয়া পুলিশের অভিযোগপত্রের কপি এখনো পাইনি আমরা। তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশ যদি এই ভিডিওর বিষয় উল্লেখ না করে, তবে তদন্ত প্রতিবেদনটি ত্রুটিপূর্ণ হবে।

আমাদের ফেসবুক পাতা

© All rights reserved © 2018 DailykhoborBarisal24.com

Desing & Developed BY EngineerBD.Net